স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার সশ্রম কারাদণ্ড

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহাকে (৪০) দুই বছর ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এই আদেশ দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহ মো. আবু জাফর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহমেদের ছেলে। পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় শামসুদ্দোহাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন তার স্ত্রী। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ। পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় আনা হয় ও বিচারের জন্য ফরিদপুরের আদালতে তোলা হয়।

মামলার বাদীর সঙ্গে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত বাদী ফরিদপুরে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ওই বছরের নভেম্বর মাসে স্ত্রীকে নিজ কর্মস্থল যশোরে নিয়ে যান পুলিশ স্বামী। সেখানে ভাড়া বাসায় ওঠেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, যশোরে যাওয়ার কয়েক দিন পর থেকেই স্বামীর আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন স্ত্রী। ওই সময় স্ত্রী জানতে পারেন, অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে স্বামী। বাধা দিলে ওই সময় থেকেই তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। এর কিছুদিন পর স্ত্রীকে ৭০ লাখ টাকা শ্বশুরের কাছ থেকে এনে দিতে বলেন। তিনি ১৫ লাখ টাকা এনেও দেন, কিন্তু এতেও মন গলেনি। বাড়ে নির্যাতনের মাত্রা। এতে বাবার বাড়ি চলে আসেন বাদী। তখন তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলে। বাবার বাড়িতেই ছেলে সন্তানের মা হন। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর।