‘দেশে খাদ্যের অভাব নেই, অর্থনীতি মজবুত আছে’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আজকে সারা বিশ্ব করোনার আঘাতে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি ঠিক আছে, মজবুত আছে। এখনও বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ ডিজিটের ওপরে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের মতো দেশ মাইনাসে চলে গেছে, সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬-৭ শতাংশ গ্রোথ আছে।’

শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক দেশে জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। পেট্রোল ও খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতেও মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ভালো আছে। শেখ হাসিনা প্ল্যান করে দেশের মানুষকে যাতে সামনের দিনে দুঃখ-কষ্টে পড়তে না হয়, সেজন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও স্থাপন করতে পারেনি বিএনপি। যার জন্য আমাদের শিল্প ধ্বংসের পথে ছিল। তাদের সময় বিদ্যুৎ মাঝেমধ্যে আসতো। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদ্যুৎ খাত থেকে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছিল বিএনপি। সেই টাকা দেশে ফেরত এনেছে আওয়ামী সরকার। আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশ। আমাদের অনেক অর্জন। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, উন্নত চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর ২০০টি দেশের মধ্যে ৫ম স্থান অর্জন করেছে। যেখানে ভারতের মতো দেশ ৫০তম, যুক্তরাষ্ট্র ৮০তম; সেখানে বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। আমরা যদি জনসংখ্যা অনুযায়ী বিচার করি, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান করোনা নিয়ন্ত্রণে এক নম্বরে আছে। টিকাদানেও আমাদের সফলতা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অনেকে আমাদের প্রশংসা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, সমৃদ্ধি ও শান্তি চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আগস্ট মাসেই প্রধানমন্ত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও দেশে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। সেই গোষ্ঠী হলো রাজাকার, আলবদর ও বিএনপি-জামায়াত জোট। তারাই দেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।’

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইন প্রণয়ন করেছিল জিয়াউর রহমান উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন জিয়াউর রহমান জাতীয় সংসদে ভোটের মাধ্যমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইন পাস করেছিল। যাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার না হয়। তারাই রাজাকার-আলবদর ও মতিউর রহমান নিজামীদের ক্ষমতায় নিয়েছিল, এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছিল। বাঙালির রক্তে যাদের হাত রঞ্জিত ছিল তাদের গাড়িতে স্বাধীন দেশের পতাকা তুলে দিয়েছিল। সেই পতাকা পদদলিত করেছিল তারা।’

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদরুল ইসলাম বাবুল ও সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ।