মদ তিতা কেন বলে ঘুসিতে বন্ধুকে হত্যা, লাশ করলেন ৮ টুকরো

জেলার কালীগঞ্জে পোশাক শ্রমিক সবুজ বার্নাডকে (৩২) হত্যার পর আট টুকরো করার ঘটনায় তার বন্ধু শাহীনুর রহমান শাহীনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা। রবিবার (২ অক্টোবর) খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার সোনাডাঙ্গা থানার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) পিবিআইয়ের ওসি হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

গ্রেফতার শাহীন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জের মানিক মেম্বারের বাড়িতে ভাড়া থেকে দক্ষিণ পানজোরা এলাকার পূর্বাচল অ্যাপ্যারেলস গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় চাকরি করতেন।    

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শাহীন হত্যার দায় স্বীকার করেছে। শাহীন ও সবুজ একই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। আসামির বাড়িতে সবুজ প্রায়ই আসা-যাওয়া করতো। আসামির স্ত্রীকে সবুজ প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনা জানার পর শাহীন বন্ধু সবুজের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এরইমধ্যে সবুজের সঙ্গে একদিন শাহীনের দেখা হয়। তখন সে শাহীনের কাছে নতুন চাকরি হওয়ায় পার্টি দাবি করে। পরে শাহীন ভিকটিমকে মদ আনতে এক হাজার টাকা দেন। ওই টাকায় আনা মদ পানের সময় তিতা লাগে কেন বলে বাদানুবাদে জড়ান শাহীন ও সবুজ। এক পর্যায়ে শাহীনের ঘুসিতে সবুজের মৃত্যু হয়। পরে গুম করার জন্য আট টুকরো করে লাশের অংশগুলো জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয় শাহীন। এছাড়া ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করেন তিনি।