দরজা ভেঙে নারী পুলিশ কর্মীর লাশ উদ্ধার 

ঢাকায় কর্মরত এক নারী কনস্টেবল মাহমুদা নাহার মিতুর (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বাস্তা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় লাশের পাশ থেকে কিটনাশক বিষের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।  নিহত পুলিশ কনস্টেবল মিতুর গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল খালেক। তিনি ঢাকায় কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইমরান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে মাহমুদা নাহার মিতু নিজের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু রবিবার দুপুর পযর্ন্ত ঘরের দরজা খুলছিলেন না। তাকে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় সিংগাইর থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে খাটের ওপর মিতুর মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তার পাশ থেকে দানাদার জাতীয় (ফুরাডান) কিটনাশকের একটি বিষের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মিতু আত্মহত্যা করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ জানান, পুলিশ কনস্টেবল মিতু তার ভাই আবু হানিফের বাসায় ভাড়া থাকতেন। মাস দুয়েক আগে তিনি বাসা ভাড়া নেন। এখান থেকেই ঢাকায় অফিস করতেন। তার স্বামী মাঝে মধ্যে আসতেন। বাস্তা গ্রাম মিতুর নানা বাড়ির এলাকা।

তবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা হলে কয়েকজন জানান, কনস্টবল মিতু ঢাকা জেলায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট পূর্বাচল পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত তিন মাস ধরে বাস্তা গ্রামে হানিফের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে একা বসবাস করছিলেন।  

সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বলা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।