বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন

মাদারীপুরের ডাসারে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক তরুণী অনশনে বসেছেন। বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ চলবল গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডে প্রেমিক শৈশব বালার (২৫) বাড়িতে তিনি অবস্থান নেন।

শৈশব বালা ওই গ্রামের দুলাল বালার ছেলে। তবে ঘটনার পর প্রেমিকের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণী পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী জানান, দুই বছর আগে তাদের পরিচয় হয় ফেসবুকে। পরিচয় থেকে কথা। এরপর থেকেই গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এর মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের ফলে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হন। পরে বিয়ের কথা বলে গর্ভপাত করেন প্রেমিক। এরপর থেকেই প্রেমিকাকে এড়িয়ে চলছেন শৈশব বালা।

অভিযোগ উঠেছে, সকালে ভুক্তভোগী ওই বাড়িতে গেলে প্রেমিকের মা, ভাই সৈকত বালা ও পিসি বিউটি হালদার তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করে এবং বিভিন্ন হুমকি দেন। পরে সাংবাদিক আসায় তারা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

ভুক্তভোগী দাবি করেন, দুই বছর আগে শৈশব বালার সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলেও শৈশব বালা আমাকে বিয়ে না করার জন্য চাপ দেয়।

আরও দাবি করেন, বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হই। একপর্যায়ে আমাকে জোর করে গর্ভপাত করিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সে যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো।

সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল জয়ধর বলেন, এই মেয়ের সঙ্গে শৈশব বালার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে মেয়ের বাড়িতে ১০/১২ জন লোকজনও গেছিল। কেন যে মেয়েটাকে এভাবে কষ্ট দিতেছে বুঝি না। এই বিষয়ে অনেকবার সালিশ হয়েছে। ওরা কাউকে মানে না।

নবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু ওই মেয়ের সঙ্গে তো আরও ছয় মাস আগে বিয়ে হওয়ার কথা। এখনও হয়নি?

ডাসার থানার ওসি হাসানুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এখনও থানায় কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।