হামলার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার মামলা, বিএনপি বলছে ‘সাজানো’

গাজীপুরের শ্রীপুরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর ককটেল হামলার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ ২৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ মামলা করেছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা এই মামলায় আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহাবুব হাসান বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন করেন। শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন মৃধা (৫০), উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সিংগারদিঘী গ্রামের শামীম মোড়লের ছেলে জিয়াউল হক ওরফে রিফাত মোড়ল (২৭), ছাত্রদল নেতা বাপ্পি সরকার (২৫), সজিব শিকদার (২৫), শ্রীপুর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আবু তাহের প্রধান (৪০), মাছুম (২৮), শিপন (৩৬), সালাম শেখ (৪০), নাজমুল শেখ (২৮), আল-আমিন (৩৮), শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান মন্ডল সোহেল (৪৫), সোহেল ফকির (৪২), সুমন আহমেদ আকন্দ (৩৫), শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন শেখ (৪০), মাসুম (২৭), মমিন সরকার (২৭), সাদ্দাম, সেলিম, আলম (৪৫), রবিন আহমেদ (২৫), ইফরান (২৫), তানভীর (২৫) ও মোবারক হোসেন শ্যামল (৪৫)।

মামলার বাদী শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহাবুব হাসান দাবি করেন, সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টায় বিশ্বকাপ খেলা দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর পৌরসভার মাস্টারবাড়ি থেকে মাওনা চৌরাস্তার উদ্দেশে রওনা হন। মহাসড়কের পাশে গিলারচালা এলাকার জমজম সুপার মার্কেটের মায়ের দোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিফাত মোড়লের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

তিনি আরও দাবি করেন, হঠাৎ হামলার ঘটনায় নেতাকর্মীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। এ সময় ৩/৪টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগকর্মী হৃদয়, সিয়ামসহ ৪/৫ জন আহত হন। আহতদের ডাক চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।  

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন মৃধা ও মামলার প্রধান আসামি শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিফাত মোড়ল দাবি করেন, হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। এ ধরনের হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি।

শ্রীপুর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আনিছুর আশেকীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর ককটেল হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।