‘বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হওয়া উচিত’

সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

তিনি বলেছেন, ‘দেশের বিদ্যালয়গুলোতে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ব্যাপক ঢাকঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তারা যেভাবে নির্বাচন করেন সেভাবে এমপি ও চেয়ারম্যানরাও করেন না। নির্বাচনে তারা ব্যাপক অর্থ ব্যয় করেন। নির্বাচিত হয়েই স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেন। কোথাও কোথাও শুনি, একেক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে গভর্নিং বডি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এসব বন্ধ হওয়া উচিত।’

শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা না গেলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে চারতলা ভবন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সরকারের আমলে শিক্ষাখাতে যত উন্নয়ন হয়েছে, তা বিগত কোনও সরকারের আমলে হয়নি। শিক্ষাখাতে প্রধানমন্ত্রীর এই অভাবনীয় উন্নয়নের উদ্দেশ্য হলো সুশিক্ষিত জাতি গড়ে তোলা। শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা না গেলে প্রধানমন্ত্রীর সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এই কথা আপনাদের সামনে যেমন বললাম, আবার প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টি বলবো।’

অনুষ্ঠানে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের ৩২১ কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষাবৃত্তির অর্থ তুলে দেন নিক্সন চৌধুরী

নিজ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘২০১৪ সালে যখন প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম সকালে উঠেই দেখতাম বিদ্যালয়ের ভবন আর বিদ্যুৎ সংযোগের সুপারিশ নিয়ে অনেকে অপেক্ষা করছেন। আমার এলাকার বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের ভবন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে সব বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ভবন করে দেওয়ার মতো বিদ্যালয় নেই, বিদ্যুৎ সংযোগও কোথাও বাকি নেই। আর সুপারিশ নিয়েও কেউ অপেক্ষায় থাকেন না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের ৩২১ কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষাবৃত্তির অর্থ তুলে দেন নিক্সন চৌধুরী।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা ও সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা।