সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু

ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ। পরে দুপুর ১২টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে আবারও নৌযান চলাচল শুরু করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে আটকা পড়ে কয়েকশ’ যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।

অ্যাম্বুলেন্সে ফরিদপুর থেকে রোগী নিয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) যাচ্ছিলেন কামরুল হাসান। নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে এসে তিনি আটকা পড়েন।

দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে আটকা পড়ে কয়েকশ’ যানবাহন

কামরুল বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৬টায় ফরিদপুর থেকে ছেড়ে এসে ৭টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে এসে ফেরিতে উঠে বসে আছি। বেলা ১১টার সময়ও নদীতে কুয়াশা থাকায় ফেরি ছাড়েনি। এদিকে অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন কমে গেছে। রোগীর কী অবস্থান হবে একমাত্র আল্লাহ জানেন।’

আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ

পদ্মা সেতু হয়ে কেনো যাননি—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সকালে ঢাকায় অনেক জ্যাম থাকে, তাই ভাবলাম ফেরি পার হয়ে দ্রুত যেতে পারবো। সেজন্য পদ্মা সেতু হয়ে যাইনি। কিন্তু ফেরিতে উঠে চরম বোকামি করলাম।’

ভোর সাড়ে ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, ‘মধ্যরাত থেকেই কুয়াশা ছিল। তবে ভোররাতে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভোর সাড়ে ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’

তিনি জানান, এই নৌপথে ছোট-বড় ১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সাড়ে ৫ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট প্রান্তে কয়েকশ’ যানবাহন আটকা পড়ে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কিছুক্ষণের মধ্যে ঘাটে চাপ কমে যাবে।