জমির ভুয়া কাগজ দেখিয়ে হাতিয়ে নিলো ২ কোটি টাকা, থানায় মামলা

মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রহণের দুই কোটি টাকা একটি প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মামলা হয়েছে। এই মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।

মামলার নথি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ডাইয়ারচর মৌজার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ০৫/২০১৯-২০২০ নং এলএ কেসের ৬৪১ নং দাগের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে একটি প্রতারক চক্র ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা উত্তেলন করে। পরে জমির প্রকৃত মালিক হারুন ব্যাপারী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন। এতে ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনে নির্দেশে মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ শাখার অফিস সহকারী সোহাগ মোল্লা বাদী হয়ে জেলার সদর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মফিতুল্লাহ হাওলাদার কান্দি গ্রামের নাজির ব্যাপারীর ছেলে শাহিন ব্যাপারী (৫৬), দত্তপাড়া গ্রামের দুলাল হাওলাদারের ছেলে আলী জামান (৫৫), আক্তারুজ্জামান (৪৫), বাঁচামারা গ্রামের নাসির উদ্দিন, দত্তপাড়া খা কান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে নজরুল খাকে (৩৫) আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহিন ব্যাপারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। 

মামলার বাদী সোহাগ মোল্লা এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামিরা এক কোটি ৮৮ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকা প্রতারণামূলকভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। প্রকৃতপক্ষে ওই দাগে আসামিদের কোনও সম্পত্তি নেই। বিভিন্ন প্রকার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি অর্থ ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে তুলে নিয়েছে।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হারুন ব্যাপারী বলেন, আমি আমার মালিকানাধীন জমি বিল তুলতে গেলে বিভিন্ন ধরেন হয়রানির শিকার হই। পরে জানতে পারি, আমার জমির বিল একটি প্রতারক চক্র নিয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন জানান, প্রতারণা করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে প্রতারণার সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।