স্ত্রী-সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আত্মহত্যা, কারারক্ষী বরখাস্ত

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত এক কয়েদি বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) মানসিক রোগীর ওয়ার্ডে আত্মহত্যা করেছেন। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই ওয়ার্ডের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। টের পেয়ে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় চার কারারক্ষীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিহত নজরুল ইসলাম (৩০) কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে।

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, ওই আসামি স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে মানসিক রোগীর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল তাকে। বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে কারাগারের ওই ওয়ার্ডের ভেতরে দরজার নেট দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে কারারক্ষীরা। পরে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থার উন্নতি না হলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেল সুপার জানান, ২০২১ সালের ২০ মার্চ থেকে নজরুল ইসলাম এই কারাগারে ছিলেন। স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে কারারক্ষী রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও সর্বপ্রধান কারারক্ষী হামিদ গাজী, সহকারী প্রধান কারারক্ষী মঈন উদ্দীন ও কারারক্ষী রফিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। কারাগারের জেলার লুৎফর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন ডেপুটি জেলার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন কারারক্ষীকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। তাদেরকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।