অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে কোটি টাকা পাচার করতেন তারা

অনলাইন জুয়া খেলায় কোটি কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাচারের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সারা বছর বিভিন্ন দেশের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট, ফুটবল লীগ, টেনিস খেলার মাধ্যমে অনলাইনে ডিজিটাল কয়েন লেনদেন করে জুয়া খেলতেন তারা। 

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। 

গ্রেফতাররা হলেন- ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে সোহেল (২৮), গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার টাংকিরপাড় এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫), একই থানার পূর্ব চান্দনা এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে রেজাউল হাসান ওরফে রিয়াজ (৩৪) ও ভোড়া এলাকার মৃত গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাসুম (২৫)।

জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনলাইন জুয়াড়ি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল যাচাই করে দেখা যায়, তারা ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করে বিপুল পরিমাণ টাকা বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।

তিনি জানান, গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অবৈধ অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যুবকদের আসক্ত করে ডিজিটাল কয়েনে লেনদেন করে জুয়া খেলা হতো। তারা মালয়েশিয়া, দুবাইয়ের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে হোয়াটস অ্যাপে বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলে পরিচয় গোপন করে যোগাযোগ করতেন। 

তিনি আরও জানান, চক্রটি প্রধানত নিয়ন্ত্রণ করেন আকাশ মালিক ওরফে রনি। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুবাই প্রবাসী। ডিজিটাল কয়েনে লেনদেনের মাধ্যমে সারা বছরে বিশ্বের বিভিন্ন খেলার মাধ্যমেও অনলাইনে জুয়া খেলা হয়। ব্যবহারকারী জয়ী হলে ডিজিটাল কয়েন ফেরত নিয়ে এর বিপরীতে আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করেন। হেরে গেলে তার পুরো ডিজিটাল কয়েনটাই পর্যায়ক্রমে জুয়া পরিচালনাকারীর কাছে জমা হয়ে যায়। ফলে দেশ থেকে পাচার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং সিআইডির মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।