এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা লঙ্ঘন করায় ৩৪ মামলা

মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা লঙ্ঘন করায় ৩৪ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 

রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের একটি বাস রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে ১৯ যাত্রী নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৫ জন। এর পর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি আবু নাইম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, ‘গতিসীমা লঙ্ঘন করায় মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত ১৩টি মামলা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরদিন সোমবার (২০ মার্চ) একই অপরাধে মামলা হয় ২১টি। দুইদিনে মামলা হয়েছে ৩৪টি। এ ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে মামলা করা হচ্ছে।’

হাইওয়ে থানা সূত্র জানায়, এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা লঙ্ঘন করায় ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮৪টি মামলা করে হাইওয়ে পুলিশ। জানুয়ারিতে এ সংখ্যা ছিল ৩১৫টি।

এদিকে জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা বলেন, ‘তদন্তের জন্য নির্ধারিত দ্বিতীয় দিনের কাজ এখনও চলছে। আমরা কাজ করছি। বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আজ রাত ১২টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’ 

রবিবার ভোরে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সিমানা এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিন জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়।