অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বারি’র বিজ্ঞানীরা

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা। উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং নতুন পদ সৃষ্টিসহ কয়েকটি দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বারি বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি সুজিত বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদসহ সমিতির নেতারা বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত নবম গ্রেডভুক্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যোগদানকারী বিজ্ঞানীরা কর্মচারী প্রবিধানমালা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে তিনটি ধাপে উচ্চতর গ্রেড (ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-৬ষ্ঠ গ্রেড, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-চতুর্থ গ্রেড ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা-তৃতীয় গ্রেড) পেয়ে থাকেন। আগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে যারা যোগদান করতেন, তারা চার বছর পর সপ্তম গ্রেডে সিলেকশন পেতেন। কিন্তু বর্তমানে সিলেকশন গ্রেড বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ইতোমধ্যে যাদের ১০ বছর চাকরিকাল পূর্ণ হয়েছে কিন্তু পদোন্নতি পাননি, তারা বারি কর্তৃপক্ষের কাছে ৬ষ্ঠ গ্রেডে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির আবেদন করেন। বিজ্ঞানীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বারি বিজ্ঞানী সমিতির অনুরোধে বারি কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞানীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে ইতোমধ্যে যাদের ১০ বছর চাকরিকাল পূর্ণ হয়েছে, তারা ৬ষ্ঠ গ্রেডে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত হবেন বলে মত দেন। কিন্তু তাদের ৬ষ্ঠ গ্রেডের পরিবর্তে বারি কর্তৃপক্ষ কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে বিজ্ঞানীদের অষ্টম গ্রেড প্রদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বারি কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। এ ছাড়া কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানান বারি বিজ্ঞানীরা।

তারা আরও বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং নতুন পদ সৃষ্টিসহ কয়েকটি দাবিতে ২৯ মার্চ থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করে আসছিলেন বিজ্ঞানীরা। সোমবার (৩ এপ্রিল) থেকে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং অবস্থান ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। কর্মসূচিতে বারির প্রায় সব বিজ্ঞানী অংশ নেন। সমাবেশ থেকে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।