ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন পুলিশ কর্মকর্তা ও বাড়ির মালিক 

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তার কথিত স্ত্রীর করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও দুই জন। তারা হলেন সোনারগাঁ থানার তৎকালীন এএসআই আজিজুল হক ও মামুনুল হকের কথিত স্ত্রীর বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন। এ নিয়ে এই মামলায় বাদীসহ ২০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‌‘মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার ১৯ ও ২০ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় মঙ্গলবার পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের সাক্ষ্য দেওয়ার ছিল। তবে এএসআই আজিজুল হক ও মোশারফ হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাকিরা আসেননি।’

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান। 

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে একটি কক্ষে কথিত স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল ও তার কথিত স্ত্রীকে ছিনিয়ে নেন। ঘটনার ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতারের পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় ওই নারী বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ পর্যন্ত মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।