নিজ বাড়িতে যাচ্ছে নায়ক ফারুকের লাশ, রাতেই জানাজা ও দাফন

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়ার নিজ বাড়িতে যাচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মরদেহ। মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ৯টায় ওই এলাকার সোমটিওরি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে তার শেষ জানাজার নামাজ হওয়ার কথা রয়েছে। পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা তার মরদেহ গ্রহণ ও দাফনের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছেন।

চিত্রনায়ক ফারুকের চাচাতো ভাই ও ছোট ভগ্নিপতি মোহাম্মদ আলী পাঠান জানান, রাত ৮টার দিকে মরদেহ গ্রামে আনা হবে। সেখানে গ্রামবাসীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। বাড়িতে আনা হবে এ জন্য সকাল থেকেই দাফনের সব কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাড়িতে সকাল থেকেই চলছে কোরআন খতম। তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণসোম গ্রামের মোজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্ররা কোরআন খতম করছেন। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আবাসিক ছিল। ব্যক্তিগতভাবে ফারুক ওই আবাসিক ব্যয় বহন করতেন। বাড়িতে এলেই মাদ্রাসায় আসতেন এবং শিক্ষক ও ছাত্রদের খোঁজ নিতেন।

ফারুকের মামাতো ভাই রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, সে বয়সে আমার ছয় মাসের ছোট হলেও বাড়িতে এলে আমাকে সবসময় ডাকতেন। তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। ছোট বেলা থেকেই সে নাটকপ্রিয় ছিল। বাড়িতে এলে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে স্থানীয়দের মন জয় করতো। মৃত্যুর দুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে জানিয়েছিল, ভাই ইনশা আল্লাহ সুস্থ হয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরবো। বাড়ি ফিরলো ঠিকই কিন্তু লাশ হয়ে।

তিনি আরও বলেন, সে জীবিত অবস্থায় বলেছিল, মৃত্যুর পর তার বাবা আজগার হোসেন পাঠানের কবরের পাশে যেন তাকে দাফন করা হয়। জানাজা ও কবর খোঁড়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেনসহ অসংখ্য ভক্ত রেখে গেছেন।