চাপ নেই কর্মস্থলে ফেরার, এখনও গ্রামে ফিরছে মানুষ

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নাই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে কর্মস্থলে ফেরার চেয়ে ঈদের পর রাজধানী থেকে গ্রামের বাড়িতে এখনও আসছে অনেক মানুষ।

রবিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও ফেরিঘাটে এমন চিত্র দেখা যায়। লঞ্চঘাটে ভিড় সামাল দিতে সকাল থেকে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অবস্থান করছেন।

লঞ্চঘাটে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার এমদাদুল হক পলাশ বলেন, ‘আমাদের ৪৫ জন সদস্য। এই মুহূর্তে আমাদের ১৫ জন সদস্য নিয়োজিত আছেন। যাত্রীদের ওঠানামাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আমরা কাজ করছি। সকাল থেকেই ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা লঞ্চঘাটে মানুষের তেমন কোনও ভিড় নেই। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার শত শত মানুষ এখনও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে গ্রামের বাড়ি, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ছুটছেন। যে কারণে পাটুরিয়া থেকে আসা প্রতিটি লঞ্চে ভিড় আছে।’

ঘাট এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে চাপ কমেছে দৌলতদিয়া ঘাটে। অনেক সময় ফেরি বসে থাকছে গাড়ির জন্য। ঈদের ছুটি শেষ হলেও তেমন যাত্রী ও যানবাহন আসছে না। বরং আজ ঈদের চতুর্থ দিন ঢাকা ফেরা থেকে ঘরমুখো মানুষের সংখ্যাই বেশি।

কুষ্টিয়া থেকে আসা উত্তরাগামী যাত্রী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এবার ঈদের ছুটি কম পেয়েছি। আজ থেকে অফিস করার কথা, কিন্তু অফিসের বসকে বলে ছুটি নিয়েছি। বৃষ্টির মধ্যে পরিবার নিয়ে আজ যাচ্ছি। কাল থেকে অফিস করবো। তবে ঘাটে কোনও যানজট নেই, এমনকি সড়কেও তেমন চাপ নেই। এক কথায় স্বস্তির ঈদযাত্রা বলা যেতে পারে।’

মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন সুরুজ মিয়া। লঞ্চঘাটে তিনি বলেন, ‘আমার ঢাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ঈদে কোরবানি দিয়েছি এবং যানজটের জন্য বাড়িতে যাইনি। আজ পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। সেখানে বাবা-মা, ভাই, বোন রয়েছেন। তাদের জন্য কোরবানির মাংস নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাচ্ছি। তবে সড়কে কোনও ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, “ঈদ উদযাপন শেষে মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করলেও চাপ নেই। কিন্তু এখনও ঢাকা থেকে অনেক মানুষ মাংস নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসছে। কাল থেকে কিছুটা চাপ হতে পারে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে মানুষ ফিরলেও ঘাটে কোনও ভোগান্তি নেই। সকাল থেকে নেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। ঘাটে আসা যানবাহনগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠছে। তাছাড়া পায়ে হাঁটা যাত্রীদেরও তেমন চাপ নেই। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বহরে থাকা ১৮টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় ১২টি ফেরি চলাচল করছে।’

যানবাহনের চাপ বাড়লে বাকি ৬টি ফেরি বাড়ানো হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।