স্যাংশন আসুক আর যতই ষড়যন্ত্র হোক, র‍্যাব কারও রক্তচক্ষু ভয় পায় না: র‌্যাব ডিজি

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের ওপরে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) আসুক আর যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, র‍্যাব কারও রক্তচক্ষু ভয় পায় না। যেকোনো জায়গায় যেকোনো লোকের গায়ে হাত দেওয়া র‍্যাবের জন্য কোনও বিষয় না—এটা প্রমাণিত সত্য।’

র‍্যাব এখন মানুষের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উল্লেখ করে র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘এখানে কাজ করতে এসে খুব এনজয় করছি। কারণ এতদিন একটি বাহিনী নিয়ে কাজ করেছি। এখন একটি বাহিনী ও সাতটি সংগঠন নিয়ে কাজ করছি। কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সুবিধা হলো—যখন যেখানে যাই না কেন, যে বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন, তা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাচ্ছি। যার ফলে র‍্যাব এখন মানুষের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখন যদি কেউ কোনও ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকে; র‌্যাব প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এতটাই এগিয়েছে যে, তাকে আমরা যেকোনোভাবে খুঁজে বের করতে সক্ষম। আমাদের চোখ ফাঁকি দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় র‍্যাব আয়োজিত মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

র‍্যাব প্রধান আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিট ফোর্সকে যে দুটি দায়িত্ব দিয়েছেন তা হলো— মাদক ও জঙ্গিবাদ দমন। দুইটি বিষয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এতে কোনও ছাড় নেই। তারপরও মাদকের সঙ্গে আমরা পারছি না। কারণ মাদক এখন সব শ্রেণির মানুষ খাচ্ছে, আবার ব্যবসা করছে। শুধু তাই নয়, আমি যে বাহিনীতে চাকরি করি, সেই বাহিনীর সদস্যরাও খান। যে কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তাদের চাকরিচ্যুত করেছি। আমাদের অভিযান এখনও অব্যাহত আছে।’

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় পৌঁছে র‍্যাব-৬-এর ক্যাম্প উদ্বোধন করেন এম খুরশীদ হোসেন। উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে র‌্যাব প্রধান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করেছে র‍্যাব। এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছি আমরা। সেইসঙ্গে জনসাধারণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। সারা দেশে র‍্যাবের কার্যক্রম পরিচালনায় ১৫টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে; যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করছে র‌্যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জে র‍্যাব ক্যাম্প ছিল না, যার কারণে অপরাধ সংঘটিত হলে খুলনা থেকে এসে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সমস্যায় পড়তে হতো। র‍্যাবের সেবা নিশ্চিত করতে গোপালগঞ্জবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভাটিয়াপাড়ায় র‍্যাব ক্যাম্প স্থাপন করা হলো।’

ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে র‍্যাব প্রধান তার নিজ গ্রাম ভাটিয়াপাড়ার বরাশুর এলাকায় আয়োজিত মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।