পদ্মায় নিখোঁজের ২৭ ঘণ্টা পর প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ প্রকৌশলী আমান উল্লাহর (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের ২৭ ঘণ্টা পর বুধবার (০৯ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এস কে ইমদাদুল হক অ্যান্ড জামিল ইকবাল কোম্পানির কনসালট্যান্ট ফার্মের ডুবুরি দলের প্রকৌশলী ছিলেন আমান। খুলনার রূপসা উপজেলার দোয়াড়া গ্রামের খান রজব আলীর ছেলে। পদ্মা নদীতে জিও ব্যাগ ঠিকমতো ফেলা হয়েছে কিনা, তা দেখতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ছোট বাহাদুরপুর এলাকায় নদীতে নেমে নিখোঁজ হন। 

হরিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্য বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে সাত কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর ভাটি এলাকা থেকে আমান উল্লাহর লাশ উদ্ধার করেছে হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।’

ওসি সুমন কুমার আদিত্য বলেন, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর থেকে গোপীনাথপুর পর্যন্ত চার কিলোমিটার পদ্মা নদীর তীর রক্ষার কাজ করছে ‘এস কে ইমদাদুল হক অ্যান্ড জামিল ইকবাল কোম্পানি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ডুবুরি দলের প্রকৌশলী ছিলেন আমান। তিনি মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নদীতে ফেলা জিও ব্যাগ নিয়মমাফিক ফেলা হয়েছে কিনা, তা দেখার জন্য অক্সিজেন মাস্ক এবং যাবতীয় সরঞ্জামসহ আরেক ডুবুরি মীর সাজ্জাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে পানির নিচে যান। ১৫ মিনিট পর আমান ভেসে উঠে সাহায্যের জন্য হাত উঁচু করলে নদীর পাড়ে থাকা অপর ডুবুরি জাহিদ পানিতে নামেন। কিন্তু ততক্ষণে আমান পানিতে কিছু সময় ভেসে থেকে তলিয়ে যান। এরপর থেকে অন্য ডুবুরিরা তাকে খুঁজতে থাকেন।