ইউনিয়ন নির্বাচনে ৩ বার হেরে যাওয়া ব্যক্তি এবার এমপি প্রার্থী

টানা তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হারলেও দমে যাননি মানিকগঞ্জের বাসিন্দা মো. আব্দুল আলী বেপারী। এবার তিনি মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। জেলা প্রশাসকের অফিসের বারান্দায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় এমপি প্রার্থী ষাটোর্ধ্ব আব্দুল আলী বেপারীর। তিনি ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াডাংগা গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে।

তিনি বলেন, টানা তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ে সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে ফেল করেছি। আমাকে মানুষ ভোট দেয় না। নির্বাচন করি আমার নিজের ভোট দেওয়ার জন্য। স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছি যাতে নিজের ভোটটি দিতে পারি। আমাকে যদি কারও ভালো লাগে তাহলে তিনি দেবেন।

আব্দুল আলী বলেন, আমার স্ত্রীসহ বাড়ির লোকজন আমাকে ভোট দিলো কিনা এই নিয়েও আমার মাথাব্যথা নেই। মানুষের জন্য কিছু করতে চাওয়া থেকে নির্বাচনে আসা।

তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম নির্বাচনে আট প্রার্থীর মধ্যে ষষ্ঠ আর সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে ৬৩ ভোট পেয়েছিলেন। তিনি একসময় ঢাকায় ইট, বালু সাপ্লাই ব্যবসা করতেন। এখন দুই বছর ধরে অবসরে আছেন। শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না। এমপি হয়ে জনগণের জন্য জানপ্রাণ দিয়ে সেবা করতে চান।

এই প্রার্থী বলেন, আমার স্ত্রী নির্বাচন করতে নিষেধ করা সত্ত্বেও পালিয়ে এসে মনোনয়নপত্র কিনেছি। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনের সময় নমিনেশন কিনে স্ত্রীর ভয়ে অন্যের বাড়ি রেখে এসেছিলাম। বাড়ি আসার পর আমার স্ত্রী দা নিয়ে আমার দিকে আসে। পরে দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পাই। আমার আয়ু থাকতে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে।

বারবার নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেন, বিএনপি নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বেঁচে থাকতে তার গ্রামের বাড়ি ঘিওরের পাচুরিয়া এসেছিলেন। ওই নেতার বাড়ির বিল্ডিংয়ের কাজের ইট বালু সাপ্লাই দিতেন আব্দুল আলী বেপারী। তখন খন্দকার দেলোয়ারকে একাধিকবার অনুরোধ করেছিলেন বাড়ির রাস্তাটি করে দেওয়ার জন্য।। প্রতি উত্তরে খন্দকার দেলোয়ার বলেছিলেন, আমার মতো কিছু একটা হয়ে রাস্তা করে নিও। সেই কথায় প্রথমে ইউপি নির্বাচন পরে এমপি পদে নির্বাচন করতে এসেছেন।