ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার হলেও মেলেনি ইউপি সদস্যসহ ২ জনের খোঁজ

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পদ্মার শাখা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি ১৯ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। তবে নিখোঁজ ইউপি সদস্যসহ দুই জনের এখনও কোনও সন্ধান মেলেনি। এখন পর্যন্ত ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে সকাল ৯টার দিকে দ্বিতীয় দিনে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড।

রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এ সময় ট্রলার থেকে ডুবে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে ডুবুরি দল। দুপুর ১টার দিকে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে, শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খেয়া পারাপারের ট্রলারটি নদীর অপর প্রান্তের পদ্মার চর থেকে হাসাইল বাজারে আসার পথে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় অন্তত ৪০ জন যাত্রী নিয়ে উপজেলার হাসাইল এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ডুবে যায়। ঘটনার পরপরই দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ঘাতক বাল্কহেডটি রেখেই পালিয়ে যায় চালক ও স্টাফরা। পরে বাল্কহেডটি টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্ঘটনার পরে ট্রলারের অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে রাতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশের টিম।

এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আতিকুর রহমান জানান, রবিবার ভোর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করার কথা থাকলেও কুয়াশার কারণে বিলম্বে কাজ শুরু হয়। দুপুর ১টার দিকে ট্রলারটি উদ্ধার করা হলেও ট্রলারে কোনও লাশ পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় দুই জন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনরা দাবি করছে। নিখোঁজরা হলেন সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) হারুনুর রশিদ ও ঢাকা ধানমন্ডির মাহফুজুর রহমান।