ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরালের পর ভূমি কর্মকর্তাকে বদলি

ঘুষ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার তাকে ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নে বদলি করা হয়। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে ভিডিওটি দেখেছি। এরপরই তাকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মতিউর রহমান বড়কান্দি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে তিন বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। এখানে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। 

কয়েকদিন আগে মতিউর রহমান অফিস কক্ষে বসে সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন, এমন দুটি ভিডিও সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তি মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলছেন। এরপর মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিচ্ছেন। টাকা হাতে নিয়ে তা ড্রয়ারে রাখছেন। ওই ব্যক্তির হাতে কিছু কাগজ তুলে দিলে তিনি ভূমি অফিস ত্যাগ করেন। চার সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, মতিউর রহমান তার কক্ষে চেয়ারে বসে আছেন। পাশ থেকে একজন ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডেল (বেশ কয়েকটি নোট) তার কাছে দিচ্ছেন। দ্রুত টেবিল থেকে ওই টাকাগুলো সরিয়ে নিচে ড্রয়ারে রাখেন। এরপরই তার চেয়ারের পেছন দিয়ে ওই কার্যালয়ের অফিস সহায়ক শিপা আক্তারকে বের হতে দেখা যায়।

দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার মতিউর রহমানকে ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি শিধলকুড়া ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানকে বড়কান্দি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিযুক্ত করা হয়েছে।

তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার অফিসের এক সহকর্মী টাকা ধার নিয়েছিলেন, তা ফেরত দিয়েছেন। সেটার ভিডিও করা হয়েছে। আমি কোনও সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিইনি।’

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ‘মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়গুলো তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’