প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে মেয়ে, বান্ধবীকে ডেকে এনে মারধরের অভিযোগ

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক শিক্ষার্থী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বান্ধবীকে (১৫) বাসায় ডেকে নিয়ে মাথার চুল কেটে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর মা-বাবার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। রবিবার (৩ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে।

থানায় করা অভিযোগ ও এলাকাবাসী জানান, পালিয়ে যাওয়া ওই কিশোরী ও মারধরের শিকার তার বান্ধবী স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই ক্লাসে লেখাপড়া এবং পাশাপাশি বাসা হওয়ায় তারা একসঙ্গে স্কুলে আসা-যাওয়া করতো। প্রায় এক মাস আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় মেয়েটির বান্ধবী। এই ঘটনায় গত রবিবার বিকালে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করে পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর বাবা। এ সময় তার মেয়ে কোথায় আছে তা বলার জন্য মেয়েটিকে চাপ দিতে থাকে। বান্ধবীর অবস্থান সম্পর্কে সে কিছুই জানে না বললে ওই কিশোরীকে গালাগালসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অভিযুক্তরা। এ সময় মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়া হয়।

চুল কাটা ও মারধরের পর ওই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘মেয়েটি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তাদের মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তারা আমার মেয়েকে বাসায় ডেকে নিয়ে মেরে আহত করে। একপর্যায়ে আমার মেয়ের মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দম্পতি পালিয়ে থাকায় তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’