সাবেক এমপি ছোট মনিরের বাসায় অ‌ভিযান, যা পাওয়া গেলো

টাঙ্গাইলের সা‌বেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির ও তার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিব‌রিয়া বড় ম‌নি‌রের বাসায় অ‌ভি‌যান চা‌লি‌য়ে‌ছে যৌথ বা‌হিনী। ‌সোমবার (৯ সে‌প্টেম্বর) দুপুরের দিকে তাদের টাঙ্গাইল শহ‌রের পূর্ব আদালত পাড়া এলাকার বাসায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অ‌ভিযান চালা‌নো হয়।

অ‌ভিযা‌নে বাসার তিনতলা থে‌কে রাইফেলের এক‌টি প্লাস্টিকের বাক্স, এক‌টি ম্যাগাজিন, ক্লিনিং কিট, ম্যাগাজিন লোড করার ক্লিপ ম্যাগাজিন কাভার ও শটগানের এক‌টি খালি কাভার উদ্ধার করা হয়। 

অভিযানের সময় উপ‌স্থি‌ত ছি‌লেন সেনাবা‌হিনীর ক্যাপ্টেন গোলাম মোস্তানজিদ শাওন, জেলা প্রশাস‌নের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হাসানসহ পুলিশের সদস্যরা। 

নাম প্রকা‌শ না করার শর্তে পু‌লি‌শের এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে ব‌লেন, ‘সা‌বেক এম‌পি ছোট ম‌নি‌রের বাসায় যৌথ বা‌হিনী অ‌ভিযান চালায়। বাসার তিনতলায় ফ্লো‌রে প‌ড়ে থাকা রাইফেলের এক‌টি প্লাস্টিকের বাক্স, ম্যাগাজিনসহ কিছু জি‌নিসপত্র পাওয়া যায়। সেগু‌লো জব্দ করা হ‌য়েছে।’

অ‌ভিযা‌নে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাস‌নের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হাসান ব‌লেন, ‘যে‌হেতু যৌথ বা‌হিনীর অ‌ভিযান ছিল, সে‌হেতু সেনাবা‌হিনীর প‌ক্ষ থে‌কে এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া হবে।’ 

এ ব্যাপারে জান‌তে জেলার অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ সুপার (ক্রাইম) মো. শরফু‌দ্দিন বলেন, যৌথ বা‌হিনীর অ‌ভিযা‌নের বিষয়ে আমি কিছু জা‌নি না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক এমপি তানভীর হাসান ছোট মনিরের ইতালির তৈরি পিস্তল, তুর্কির তৈরি শটগান এবং তার বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের ইতালির তৈরি শটগান ও জার্মানির তৈরি পিস্তলের লাইসেন্স আছে। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্রগুলো দুই ভাই জমা দেননি। সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চালানো হলেও পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। এরই মধ্যে গত রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে।