টাঙ্গাইলে আ.লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে নেতাদের সব বাসাও ভেঙে ফেলার ঘোষণা

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে তারা ভেকু মেশিন নিয়ে এসে শহরের মেইনরোডে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙা শুরু করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে উল্লাস করতে দেখা যায়। এতে ওই সড়‌কে যানচলাচল বন্ধ হ‌য়ে রয়েছে।

জানা গেছে, বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানসহকারে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হন। পরে ভেকু দিয়ে দলীয় কার্যালয়টি গুঁড়িয়ে দেন। এ সময় ছাত্র প্রতিনিধি মারিয়ান মুকাদ্দাস মিষ্টিকে ভেকুর ওপর বসে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলের পাশেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইলের অন্যতম সমন্বয়কারী আল আমিনকে দেখা গেছে।

tangail3

এদিকে, কার্যালয়টি ভাঙার পর একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি প্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুকের বাসাও ভাঙচুর করে।

ছাত্র প্রতিনিধি মারিয়ান মুকাদ্দাস মিষ্টি বলেন, আমরা টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের কোনও অফিস রাখবো না। এখন আওয়ামী লীগ অফিস ভেঙেছি। আওয়ামী লীগের যত নেতা আছে, তাদের বাসাও ভাঙবো।’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদি হাসান রিফাত বলেন, ‘যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল। এই টাঙ্গাইলকে শাসন করে গেছে তাদের এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অফিসও ভেঙে ফেলবো। ফ্যাসিবাদের কোনও আস্তানাই বাংলায় রাখবো না।’

tangail1

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অন্যতম সমন্বয়ক আল আমিন কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’

প্রসঙ্গত, এর আগে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।