গাজীপুরে পলিথিন কারখানায় টাস্কফোর্সের অভিযান, কারাদণ্ড ও মামলা দায়ের

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে অবৈধ পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭টি কারখানার বিরুদ্ধে বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২ হাজার ৪০০ কেজি পলিথিন ও পলিথিন উৎপাদনে ব্যবহৃত পিপি দানা জব্দ করা হয়। শনিবার (২১ জুন) সকালে টঙ্গীর তিলারগাতী ও সাতাইশ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সাতটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫টি কারখানার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের প্রমাণ পায় টাস্কফোর্স। ওই ৫টি কারখানার মধ্যে রাফি এন্টারপ্রাইজের মালিককে ৩ মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড এবং ৩টি কারখানার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট শাখায় পাঠানো হয়েছে। বাকি দুই কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি টাস্কফোর্স।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুজ্জামান হিমু জানান, অভিযানকালে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাফি এন্টারপ্রাইজের মালিক নজরুল ইসলামকে ৩ মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ভাই ভাই প্যাকেজিং, মায়ের দোয়া প্যাকেজিং এবং জোনায়েদ প্যাকেজিং কারখানার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার জন্য গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি ওই তিন কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ ছাড়া নাটেক্স থ্রেড অ্যান্ড ট্রিম কারখানার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট শাখায় প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় দুটি কারখানার একটিতে পেপার প্যাকেজিং এবং অপরটিতে কার্টন প্যাকেজিং কারখানায় পরিবেশ দূষণের কোনও অপরাধ না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযানকালে ২ হাজার ৪০০ কেজি পলিথিন ও পিপি দানা জব্দ করে গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তার বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি গাজীপুর জেলা প্রশাসক দূষণে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এ লক্ষ্যে দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেলে যাচাই করে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ রক্ষার জন্য এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান হিমু ও ইশতিয়াক আহমেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সময় গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি এবং আনসার সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।