মাদারীপুরে ইউপি নির্বাচনে সক্রিয় নারীরা : সংহিসতার শিকারও অনেকে

Madaripur Women in UP Election (01)

বিগত যে কোনও সময়ের নির্বাচনের চেয়ে এবার মাদারীপুরে’র ইউপি নির্বাচনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত। প্রচার-প্রচারণায় বাড়ি বাড়ি যাওয়া ছাড়াও সভা-সমাবেশ ও মিছিলেও অংশ নিচ্ছেন নারীরা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমন সক্রিয় অংশগ্রহণ নারীদের অগ্রগতিকেই নির্দেশ করছে। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা নেমে প্রতিপক্ষের হাতে নির্যাতন,  মারধর ও হামলার শিকারও হয়েছেন নারীরা । তবুও দমে যাননি তারা। পছন্দের প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারনায় একনিষ্ট সমর্থক হয়ে কাজ করছেন।

স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিন জানা গেছে, মাদারীপুর শহর সংলগ্ন রাস্তি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন মোল্লার পক্ষে প্রচারণায় নেমে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন নারীরা। এই ঘটনায় দুইজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ছবুল হাওলাদারের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করেন ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক নারীরা।

পূর্ব রস্তি এলাকার আছিয়া, মনোয়ারা বেগম, জাহানারা, নূপুর, সাদিয়াসহ অন্যরা ওই দিন বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশাসনের কাছে হামলার উপযুক্ত বিচার চান।

রাস্তি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, রাস্তি এলাকার নারীরা যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নিজেদের উদ্যোগে প্রচারণা নামায় আমার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

Madaripur Women in UP Election (04)

অপরদিকে যার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নারীদের ওপর হামলার অভিযোগ সেই প্রার্থী রাজু হাওলাদারকে দেখা গেল বৃহস্পতিবার বিকেলেই গণসংযোগ করছেন ইউনিয়নের অপর একটি স্থানে। সেখানেও সমাবেশের বেশির ভাগই নারী।

এসব নারীরা জানান,তারা এবার পুরুষদের পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন প্রচার-প্রচারণায়।

আর তার পুরুষ কর্মী-সমর্থকদের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রাজু হাওলাদার।

এদিকে গত এক সপ্তাহ আগে ঘটমাঝি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচনী সহিংসতার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন নারী। দুজনের হাতও ভেঙেছে প্রতিপক্ষের হামলায়। এসব ঘটনায় বিচার চান সংশ্লিষ্টরা।

ঘটমাঝি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান দর্জি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনি প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা আমার পক্ষের দুই নারীসহ ৫ জনকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। নারী দুজনের একজনের হাত ভেঙেছে, অপরজন বুকে ও পাঁজরে আঘাত পেয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, নারী-পুরুষের ব্যাপক অংশগ্রহণেই নির্বাচন হচ্ছে। এক্ষেত্রে যে কোনও ধরনের সহিংসতা ও পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

/জেবি/