ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বাবুলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার রাতে সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, বর্তমানে বাবুল পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেনের তত্বাবধানে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে বাবুল শহরের ফরিদপুর হাইস্কুলের সামনে অবস্থিত তার চেম্বার থেকে অটোরিকশায় শহরের টেপাখোলায় বাড়িতে যাওয়ার সময় জেলা স্কুলের সামনে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা তার অটোরিকশার পথ গতিরোধ করে তাকে জোরপূর্বক নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। বাবুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মারাত্মক আহত বাবুলকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের পিঠ, হাত, পা সহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে।    
বাবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়।

এদিকে, অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর আইনজীবী সমিতির আহ্বানে আইনজীবীরা সারাদিন কর্ম বিরতি পালনের পাশাপাশি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুর রহমান খান মিলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, আশিশ কুমার, খসরুজ্জামান দুলু, সুবল চন্দ্র সাহা, শামসুল হক ভোলা মাস্টারসহ আরও অনেকে। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে দাবি জানিয়ে বলেন, আগামী রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন ফরিদপুরের আইনজীবীরা। এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন।

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় এখনও কোনও মামলা হয়নি। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিমউদ্দিন জানান, সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে।

 

/বিটি/টিএন/