নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলার দুইজন বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা হতে ১১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের দুটি মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিন আসামি নূর হোসেন ও র্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাঈদের পক্ষের আইনজীবীরা ওই দুই বাদীর সাক্ষ্য নেন ও জেরা করেন।
সাক্ষ্য প্রদানকারী দুইজন হলেন সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ দুইজন সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার বাদী।
সোমবার সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ২৩ আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হলে নূর হোসেন ও তারেক সাঈদের পক্ষে দুটি মামলার বাদীকে জেরা করা হয়। এর মধ্যে নূর হোসেনের পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা ও তারেক সাঈদের পক্ষে সাবেক পিপি সুলতানউজ্জানা জেরা করেন।
এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার দুইজন বাদীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল অন্যদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭জন করে।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনও ১২ জন পলাতক রয়েছে।
/টিএন/