আশার আলো দেখছেন বাবা-মা

শিশু বায়েজিদকে ঢাকায় আনা হবে

মাগুরায় বার্ধক্যে আক্রান্ত শিশুঅবশেষে বৃদ্ধের চেহারা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশু বায়েজিদকে সরকারিভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হবে বলে জানা গেছে। এতে আশার আলো দেখছেন শিশুটির বাবা মা। সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনসহ বেশ কিছু মিডিয়ায় শিশু বায়েজিদের ওপর প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের সারাদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে এই শিশু।
বায়েজিদের প্রতিবেদনটি মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগের নজরের আসার পর মাগুরা সিভিল সার্জন এফবিএম আ. লতিফ রবিবার শিশু বায়েজিদকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনেন। তিনি বায়েজিদের চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন। ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মেডিক্যাল বোর্ড শিশু বায়েজিদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহেল কাফি জানান, শিশু বায়েজিদ বিরল প্রকৃতির প্রজারিয়া রোগে আক্রান্ত। পাঁচ বছর আগে উত্তরবঙ্গে দেশের প্রথম প্রজারিয়া রোগী শনাক্ত করা হয়। আর বায়েজিদ বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া দ্বিতীয় রোগী। সত্যিকার অর্থে প্রজারিয়া রোগির সংখ্যা খুবই নগণ্য বিধায় এ রোগের বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা পরিচালিত হয়নি। শিশু বায়েজিদকে কেন্দ্র করে প্রজারিয়া রোগ গবেষণার ক্ষেত্রে নবদিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আমি মনে করি।

মাগুরায় বার্ধক্যে আক্রান্ত শিশু ২

বায়েজিদের বাবা লাভলু শিকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি হতদরিদ্র কৃষক। প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকাও সত্ত্বেও আমার সন্তানকে ঢাকায় নেওয়ার সুযোগ আমার হয়নি। আর্থিক সংকটই এক্ষেত্রে একমাত্র বাধা। সরকারিভাবে আমার সন্তানকে ঢাকায় নেওয়া হবে এটি আমাকে আশান্বিত করেছে। সরকারিভাবে নেওয়া এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে আমার সন্তান সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আমি আশাবাদী।

আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক চেহারা নিয়ে বেড়ে উঠছে বায়োজিদ

/এইচকে/এনএস/