ডিআইজি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নব্য জেএমবির এই গ্রুপটি বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও যশোর জেলার একাংশে আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশকে টার্গেট করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের সুযোগে ওই দলটির নেতাদের টার্গেট করেছে। পুলিশের মনোবল ভাঙতে খুলনা রেঞ্জের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কনেস্টবল পর্যন্ত কোনও পুলিশ সদস্য নব্য জেএমবির টার্গেটের বাইরে নয়।’
ডিআইজি বলেন, ‘বাংলা ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতো এমন এক জেএমবি নেতা এখন দক্ষিণাঞ্চলে তৎপরতা চালাচ্ছে। বাগেরহাটের কচুয়ায় মঙ্গলবার রাতে আটক এই চার জঙ্গিসহ একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে ওই জেএমবি নেতা। পুলিশ নব্য জেএমবির এই টিম লিডারের সম্পর্কে অনেক গৃরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেও দ্রুত গ্রেফতারের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
ডিআইজি আরও বলেন, ‘নব্য জেএমবির এই গ্রুপটিতে আইটি বিশেষজ্ঞ রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে নিজস্ব সফ্টওয়্যার তৈরি করেছে। কচুয়ায় অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়া ৭ থেকে ৮ জন জঙ্গিসহ এই গ্রুপটিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী গ্রাম থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নব্য জেএমবির ৪ সদস্যকে আটক করে। তাদের নামে পৃথক ৪টি মামলা দিয়ে পুলিশ আদালতে পাঠালে তারা নব্য জেএমবির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে বিস্তারিত বর্ণনাসহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আরও পড়ুন-
আ. লীগের কেন্দ্রীয় ৩৮ পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ
সব বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
/এআর/এফএস/