সীমান্তের কাঁটাতারে এবার যুবকের শার্ট, নিচে লাশ

বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় কাঁটাতারে যুবকের শার্ট ও নিচে লাশযশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ায় এক যুবকের ঝুলন্ত শার্ট ও নিচে এক ব্যক্তির পড়ে থাকা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সীমান্তের জিরো লাইনের ১৮ এর ৩ নম্বর পিলারের কাছে লাশটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশটি নিয়ে গেছে ভারতীয় পুলিশ।

বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে বাংলাদেশি কৃষকরা মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পেয়ে বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়। ভারতের পাশ থেকে লাশটি বাংলাদেশের দিকে ফেলে দেওয়ার সময় তার গায়ের শার্ট ভারতের সুসংহত চেকপোস্টের টার্মিনালের সীমানা প্রাচীরের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলতে দেখা যায়।  কিন্তু মরদেহটি ভারত সীমানায় থাকায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেনি। পরে বিষয়টি বেনাপোল বিজিবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গে আলাপ করার পর মরদেহটি ভারতীয় পুলিশ নিয়ে যায়।

সন্ধ্যায় বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার গিয়াস উদ্দিন লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ, চেকপোস্ট বিজিবি ও পেট্রাপোল বিএসএফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটির পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।

স্থানীয়দের ধারণা, উদ্ধার হওয়া লাশটি ভারতীয় নাগরিকের। তিনি অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে আটক হতে পারেন। বিএসএফ সদস্যরা তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে মৃতদেহটি ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের নতুন টার্মিনালের মধ্য থেকে কাঁটাতারের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মরদেহটি ভারত সীমানার মধ্যেই পড়ে যায়। এ সময় তার শরীরে থাকা শার্টটি কাঁটাতারের সঙ্গে ঝুঁলে থাকে। ওই এলাকায় চলাচল কম থাকায় মরদেহটি মানুষের চোখে পড়েনি। লাশ দেখে স্থানীয়দের ধারণা, একদিন আগে তাকে মেরে ফেলা হয়ে থাকতে পারে।

বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে মরদেহটি ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে পড়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিএসএফকে জানানো হয়। তারা বনগাঁ থানায় খবর দেয়। পরে রাতে ভারতীয় পুলিশ এসে সেখান থেকে মরদেহটি নিয়ে যায়। 

/এএ/