বিএসএফের একটি সূত্র জানায়, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তি ভারতীয় নাকি বাংলাদেশি তা জানা যায়নি। তবে তিনি একজন মুসলিম বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকালে বাংলাদেশি কৃষকরা মাঠে ঘাস কাটতে গেলে ভারতের পেট্রাপোলের ‘সু-সংহত টার্মিনালের’ পাশে মৃতদেহটি দেখতে পায়। এ সময় তার গায়ের শার্টটি টার্মিনালের সীমানা প্রাচীরের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলতে দেখা যায়। বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও মৃতদেহটি ভারত সীমানায় থাকায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ তা উদ্ধার করেনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম জানান, বিএসএফকে জানানো হলে বুধবার রাতে ভারতীয় পুলিশ এসে সেখান থেকে মৃতদেহটি নিয়ে যায়। এখনও মৃতদেহটির পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি একজন মুসলিম এটা নিশ্চিত করেছে বিএসএফ।
স্থানীয়দের ধারণা, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি ভারতীয় নাগরিকের। তিনি অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে আটক হতে পারেন। বিএসএফ সদস্যরা তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে মৃতদেহটি কাঁটাতারের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মৃতদেহটি ভারত সীমানার মধ্যেই পড়ে যায়। এ সময় তার শরীরে থাকা শার্টটি কাঁটাতারের সঙ্গে ঝুলে থাকে।
/বিটি/