বেনাপোলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

ফাইল ছবিবেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া সীমান্তে চোরাচালানি মাল ধরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আট চোরাকারবারী আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে ৭ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি  হলে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে সীমান্তবর্তী গ্রাম বড়আঁচড়ায় এ ঘটনা  ঘটে।

আহতরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বড়আঁচড়া গ্রামের সুমন (৩২), সুজন (৩০), পলাশ (২৮) ও শিমুল (২৩), ফজলুর রহমান কালু (৫৫), ইমাদুল (৪০) ও শামিমের স্ত্রী রোকসানা (৩৫) ও মেয়ে রিমা (১৭)।

আহতদের মধ্যে সুমনের নামে তথ্য পাচার আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা রয়েছে। গত বছর বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুমনের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনী দফতরের গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্রের একটি ফাইলসহ তাকে আটক করেছিল।

স্থানীয়রা জানান, আহতরা সবাই চোরাচালানি কাজের সঙ্গে জড়িত। চোরাচাকারবারী সুজন অভিযোগ তোলে তার চোরাচালানি পণ্য কালু নামে অপর এক চোরাচালানি বিজিবির কাছে ধরিয়ে দিয়েছে। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তিন-চার দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পরিবারের ৮ নারী ও পুরুষ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়।

শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেসের ইমারজেন্সি বিভাগের ডাক্তার জহিরুল হক জানান, আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক এএসআই জহিরুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/এমডিপি/