পুলিশের গুলিতেই ইউসুফ মারা গেছে, দাবি পরিবারের

যশোরযশোরে গুলিবিদ্ধ ইউসুফ (৩০) জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  রবিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে মারা গেছেন। হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ইন্টার্নি চিকিৎসক শামিমা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার রাত ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ ইউসুফকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

নিহত ইউসুফ যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আবদুল লতিফের ছেলে।

পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে পুলিশ ইউসুফকে আটক করে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তাকে গুলি করে।

ইউসুফের ভাই ওমর শরিফ রাজা বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে শহরের চাঁচড়া মোড় থেকে আমার ভাইকে পুলিশ আটক  করে। পুলিশ যে মামলায় তাকে ধরেছে ওই মামলার সে এজাহার নামীয় আসামি না। আমার ভাইকে এসআই  ইউসুফ আলী আটক  করে প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা ও পরে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করেছেন।’

পুলিশ তাকেও জীবননাশের হুমকি দিয়েছে বলেও দাবি করেন শরিফ রাজা।

এদিকে, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন দাবি করেন,‘শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকায় দু’দল সন্ত্রাসীদের ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গুলি বিনিময়ে ইউসুফ আহত হন।’

কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক এইচএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুদল সন্ত্রাসীর মধ্যে গুলি বিনিময় হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকায় যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউসুফকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ ইউসুফের বিরুদ্ধে অপসোফার্মা নামে একটি ওষুধ কোম্পানির এক কর্মীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতায়ের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ঘোপ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া ইউসুফের বিরুদ্ধে আর কয়টি মামলা আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:
জাকির বাড়ি ফিরে এসেছে

/বিটি/