মুক্তিযোদ্ধাকে হাতুড়িপেটা: আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে পরিবার

মাগুরামাগুরায় মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মশিউর রহমানকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর ঘটনায় মামলার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। অথচ আজও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন আহত মুক্তিযোদ্ধা মশিউর। এছাড়া আসামিরা প্রকাশ্যে মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী মশিউর রহমানের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম।

মামলার বিবরণ ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য মশিউর রহমান গ্রামের বাড়ি থেকে মাগুরায় আসার পথে ওই গ্রামের বাঁশি বিশ্বাস, সুমন, আকেন, রফিকুল ও আজিজুল তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় তারা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে। তার হাতের আঙ্গুল, হাটু ও কোমরসহ একাধিক জায়গায় এখনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার পর ওই মুক্তিযোদ্ধাকে মাগুরা সদর হাসপাতালের মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মশিউর রহমানের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৫ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী রিয়াদ অভিযোগ করেন, ঘটনার ২০ দিন পরও মামলার প্রধান আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাদের ধরছে না।

মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও একাত্তরের শ্রীপুর বাহিনীর উপ অধিনায়ক মোল্যা নবুয়ত আলী বলেন, দেশের জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। যারাই এ মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা চালিয়েছে আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের জন্য আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ 

মশিউর রহমানের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য মো. আলেক মিয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। গ্রামের কোনও রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না। নিজের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছেন এটাই তার সবচেয়ে বড় অপরাধ। সম্পত্তির লোভে পড়ে তার ওপর এই বর্বরোচিত হামলায় আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই আব্দুল হামিদ জানান, ইতোমধ্যে মামলার ৫ নম্বর আসামি আজিজুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  

/এমডিপি/