পরিবহন ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দরে পণ্য জট

benapole picture------0

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১২ দফা দাবিতে চলা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের চালান কাস্টমস থেকে শুল্ক পরিশোধ করার পরও ট্রাকের অভাবে খালাস করতে পারছে না আমদানীকারকরা। ৭০ ট্রাক পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক ধর্মঘটের মধ্যে পড়ে বেনাপোল কাস্টমসের বাঁশকলের সামনে আটকা রয়েছে। বন্দর থেকে পণ্য বের হতে না পারায় বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে পণ্যজটের। তবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলছে।

সোমবার বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আসা রফতানি পণ্যবোঝাই ট্রাক খালি করা হচ্ছে। আমদানি-রফতানিসহ বন্দর ও শুল্কভবনের সব কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে। হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা কাজ করছে শুধু আমদানি পণ্য নিয়ে কোনও ট্রাক কিম্বা কাভার্ডভ্যান বন্দর ছাড়ছে না।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, সকালের দিকে কয়েকটি ট্রাকে পেঁয়াজ লোড হয়ে বন্দর থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে আছে। বন্দরের সামনে সড়কের দুপাশে শত শত ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে পণ্য পরিবহনের জন্য। তবে বন্দরের মধ্যে কাজকর্ম ও আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।

benapole picture-3

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে প্রতিদিন অন্তত চার থেকে পাঁচশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যায়। কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘটে পণ্য পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল কাস্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে কাঁচামাল পেঁয়াজের অন্তত ৭০টি ট্রাক আটকে আছে। দু-একদিন বন্দরে পড়ে থাকলে এসব পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ঝিকরগাছা-শার্শা-বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতির বেনাপোলের চেয়ারম্যান জিএম আজিম উদ্দিন জানান,  পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার ভোর থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে বেনাপোলসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার ধারে ট্রাক-ট্যাংক লরির লম্বা লাইন পড়ে গেছে। ১২ দফা দাবি না মানা হলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

/এসটি/