মণিরামপুরে দুই তরুণী ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় মামলা

দুই তরুনী ধর্ষণের ঘটনায় আটক অভিযুক্ত ইমন ও আলমগীরযশোরের মণিরামপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুই তরুণীকে ধর্ষণ ও তা ভিডিও ধারণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই তরুণীর একজনের বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলাটি (নম্বর-২৮) করেন।

মামলার আসামিরা হলো মণিরামপুর উপজেলার চালকিডাঙ্গা গ্রামের ইয়াকুব (২০), টুনিয়াঘরা গ্রামের ইসরাফিল (১৭) ও একই গ্রামের আলামিন (১৮), আলমগীর (১৭) ও ইমন শেখ (১৮)।

দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ভিকটিম দুই তরুণীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আজ  শুক্রবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টার দিকে ওই দুই তরুণী চালকিডাঙ্গা বাজারে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বেগারীতলার কাছাকাছি পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা দুই তরুণীকে জোর করে পাশের বাগানে নিয়ে যায়। এরপর ইয়াকুব ও ইসরাফিল তাদের পৃথকভাবে ধর্ষণ করে। বাকিরা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে।

ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আরেকজনএদিকে, দুই তরুণীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে যা পৌঁছেছে গণমাধ্যমকর্মীদের হাতেও। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইয়াকুব, আলমগীর ও ইমন নামের তিন যুবককে ধরে থানায় সোপর্দ করেছে।

ভোজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক তিন যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তবে তিন যুবক আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ‘আমি বাইরে আছি। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই  শাহাদতের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

যোগাযোগ করা হলে এসআই  শাহাদত বলেন, ‘ভিকটিম দুজনকে হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আটকদের বিষয়ে বিস্তারিত ঘণ্টাখানেক পর জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারিও উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। যার ভিডিওচিত্র ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

/বিটি/