খুলনায় হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রসহ ৪ জনকে অর্থদণ্ড

খুলনাখুলনার হরিজন পল্লীতে মনা মুন্সী (৫৬) হত্যা মামলার রায়ে পিতা-পুত্রসহ ৪ আসামিকে ২৫ হাজার করে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে অর্থ অনাদায়ে প্রত্যেককে দু্ই বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কাশেম ব্যাপারী, তার ছেলে আব্দুল হান্নান ব্যাপারী ও আকরাম ব্যাপারী এবং পৌত্র হাসান ব্যাপারী। তাৎক্ষণিকভাবে আদালতে দণ্ডের এক লাখ টাকা জমা দিয়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তি পান।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা (হরিজন কলোনি) এলাকায় ডিম কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ১৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুটি পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বৃদ্ধ মনা মুন্সী আহত হন। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আলাউদ্দিন মুন্সী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ২৬ মে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই মতিউর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার শুনানি চলাকালে আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। সবশেষে সোমবার রায় ঘোষণা করা হয়। মামলাটি ৩৯২/৩৪ ধারায় হলেও আদালত দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারার দ্বিতীয় খণ্ডে বর্নিত অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়ে অর্থদণ্ডের এ আদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাছলিমা বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম।

/এআর/