মোরেলগঞ্জে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবি: পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

Bagerhat Photo (28.03.2017)

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে মঙ্গলবার সকাল সোয়া দশটার দিকে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রলারডুবিতে এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে তাদের স্বজনরা দাবি করছেন। পুলিশ, দমকল বিভাগ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’

তিনি আরও জানান,  ট্রলার ডুবির ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুর রশিদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে।  কমিটিতে জেলা প্রশাসনের তিন কর্মকর্তাসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একজন করে রাখা হয়েছে। এই কমিটিকে কার গাফলতিতে কিভাবে ট্রলারটি ডুবল তা তদন্ত করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

 ট্রলার ডুবির পর চার নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও কমপক্ষে ৩০/৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয়রা নদী থেকে অন্তত ত্রিশ জনকে উদ্ধার করেছেন। ট্রলারটি যাত্রী নিয়ে ছোলুমবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে পুরাতন থানাঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।

মৃত ওই চার নারী হলেন, বিউটি (৩৮), পেয়ারা (৫০), সুফিয়া (৭৫)ও নাদিরা (৪৪)। তবে তাদের বাড়ি কোথায় তা এখনো জানা যায়নি।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম চার নারীর লাশ উদ্ধারের সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, এছাড়া উদ্ধারকৃতদের মধ্যে এক নারী ও শিশুকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অপর এক নারীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, সকাল সাড়ে দশটার দিকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ছোলমবাড়ি খেয়াঘাট থেকে থানাঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।সোয়া দশটার দিকে ট্রলারটি থানাঘাটের কাছাকাছি আসলে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির নৌবাহিনীর জাহাজের ঢেউয়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: আতিয়া মহল বুঝিয়ে দেওয়া হলো পুলিশকে