সীমাখালী ব্রিজে যান চলাচল শুরু, স্বস্তিতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ

মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালীতে বিকল্প বেইলি ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে খুলনা-যশোর অঞ্চল ও ভারতগামী মানুষেরা দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে চার মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার এই ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।

যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সীমাখালী বেইলি ব্রিজএর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শালিখা উপজেলার সীমাখালী ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলার সঙ্গে কলকাতা, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরাগামী যানবাহনের চালকরা ঝিনাইদহ হয়ে অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছিল। এ ছাড়া সাড়ে চার মাস ধরে মাগুরা-যশোরসহ আন্তঃজেলার যাত্রীরা সীমাখালী চিত্রা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে লোকাল বাস ও নসিমন, করিমনে চলাচল করতে বাধ্য হতেন।

এ অবস্থায় সরাসরি যানবাহন চলাচলের জন্য ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যায়ে দুই লেনের বেইলি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মাগুরা সড়ক বিভাগ। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজ শুরু করতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগে যায়। পরে সড়ক বিভাগ ৪০ দিবসের মধ্যে বেইলি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করে। কিন্তু নানা জটিলতার কারনে বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করতে তিন মাস সময় লেগে যায়। পরে ২২ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সংযোগ সড়কসহ নির্মিত বেইলি ব্রিজের একটি লেন যানবাহন চলাচলে জন্য উন্মুক্ত করা হয়, যা ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি এনেছে।

বেইলি ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এইচ অ্যান্ড আর জেবিসির অংশীদার রানা আমির ওসমান বলেন, ‘এ ধরনের ব্রিজ তৈরিতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগে। কিন্তু ঈদে ঘরমুখো মানুষের কথা ভেবে প্রচণ্ড রোদ, অতি বৃষ্টিসহ প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলা ও সময়মতো অর্থ বরাদ্দ না পেয়েও মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করার চেষ্টা করেছি।’

মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর নবী তরফদার বলেন, ‘৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রিজটির প্রকৃত নির্মাণ সময় ছিল ৬ মাস। কিন্তু দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে মাত্র ৪০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিলো। তারা প্রায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পেরেছে।’

/এমও/