সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ১২ আগস্ট রাতে রুটিন তল্লাশির অংশ হিসেবে সাদ্দাম হোসেন হলে যায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাদিউজ্জামান হাদির ৩১৭ নম্বর রুম তল্লাশি করে ১১টি ককটেল, ৫টি পেট্রোল বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, বিপুল পরিমাণ ডিস্ক, দেশীয় অস্ত্র, দালিলিক কাগজপত্র ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
তল্লাশি অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান। প্রেস ব্রিফিংয়ে উদ্ধার করা জিনিসগুলোর বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় সাদ্দাম হোসেন হলে তল্লাশি চালিয়ে ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির রুমে এগুলো পাওয়া গেছে। হল থেকে দুই শিবিরকর্মীকে আমরা আটক করেছি। ছাত্র নামধারী বাকি দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে গেছে। শিগগিরই আমরা তাদের আটক করবো।’
এ সময় পুলিশ সুপারের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম, ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ।
এর আগে কয়েকজন শিবিরকর্মী অস্ত্র নিয়ে সাদ্দাম হোসেন হলে ঢোকে বলে অভিযোগ তোলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর বিকাল থেকে কয়েক দফা হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায় বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন।
/জেএইচ/