মাগুরায় চাহিদার তুলনায় গরু বেশি, দাম নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

মাগুরায় গরুর দাম নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা (ছবি: প্রতিনিধি)মাগুরায় এবার কোরবানিকে সামনে রেখে গরুর সংখ্যা চাহিদার চেয়ে বেশি। তারওপর ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন খামারিরা। একই সঙ্গে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মোটা তাজাকরণের খরচও বেড়েছে অনেক। তাই গরুর দাম নিয়ে লাভ হবে কিনা সেই চিন্তায় আছেন তারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, আসন্ন কোরবানির ঈদে ৭ হাজার ৬০০ গরুর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুত হচ্ছে ১১ হাজার ২৬৩টি গরু। অর্থাৎ জেলায় চাহিদার তুলনায় গরু থাকবে প্রায় দেড়গুণ।

খামারি সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবছর চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। তবে এরইমধ্যে কিছু ভারতীয় গরু জেলায় প্রবেশ করেছে বলে জানতে পেরেছেন তারা।

জেলার কান্দা বাঁশকোটা গ্রামের গরুর খামারি চান্দু বিশ্বাস বলেন, ‘গত বছর গমের ভুষি কিনেছি ১৩০০ টাকায় প্রতি মণ। কিন্তু এবছর কিনছি ১৮০০ টাকায়। যে ছোলা গত বছর কিনেছি সত্তর টাকা কেজি দরে, এবার তা ১০০ টাকা। সব মিলে গরু মোটাতাজাকরণের খরচ গত বছরের তুলনায় এবছর প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গরুর বাজার দর গতবছরের মতোই।’

মাগুরা নান্দুয়ালী গ্রামের খামারি আলী কদর বলেন, ‘শুনছি যে জেলায় যে পরিমাণ গরু প্রস্তুত হয়েছে, চাহিদার তুলনায় তা অনেক বেশি। আবার ভারতীয় গরুও নাকি আসতে শুরু করেছে স্থানীয় ব্যাপারীদের মাধ্যমে। এ অবস্থায় তাই আশা, লাভ না হলেও লোকসান যাতে গুণতে না হয়।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কানাইলাল কর্মকার বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় বেশি গরু নিয়ে খামারিদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ মাগুরার গরুর ক্রেতা শুধু মাগুরার মানুষই নয়। ইতোমধ্যেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গরু ব্যাপারিরা মাগুরায় আসছেন। সব মিলিয়ে জেলার গরু খামারিরা লাভবান হবেন বলেই আমরা আশাবাদী।’