বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম সাফায়েত হোসেনের নেতৃত্বে অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
গত বছরের ২ অক্টোবর ভোরে বেনাপোল বন্দরের ২৩ নম্বর গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১৩৭ জন আমদানি কারকের পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রায় ৪ দিন লেগে যায় আগুন পুরোপুরি নেভাতে। এতে কোটি কোটি টাকা লোকসান হয় ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্দর থেকে পণ্য চুরি ও অব্যবস্থাপনার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও নজরদারি নেই। বন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানানো হলেও গত এক যুগ ধরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। বন্দরের কর্মচারীরা অনিয়ম করে এখনও সাধারণ পণ্যাগারে কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ নামাচ্ছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান,বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও তেমন কোনও কাজ হয় না।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিম বলেন,কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থের জন্য আলাদা পণ্যাগার রয়েছে। কিন্তু পণ্যাগারের লোকজন অনিয়ম করে কেন দাহ্য পদার্থ রেখেছিল সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। আর আমদানিকারকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও নিয়ম বন্দরের নেই বলেও জানান তিনি।