এদিকে, ১৯৫০ সালে মংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার পর কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও বন্দর এলাকায় নিজস্ব ক্যান্টিন এবং আগত ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে গড়ে ওঠেনি তিন তারা মানের আবাসিক হোটেল। ফলে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আমদানি-রফতানিকারক, শ্রমিক-কর্মচারীসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বন্দর ব্যবহারকারী নুরুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বর্তমানে বন্দর জেটিতে কন্টেইনার ও মেশিনারীজ জাহাজ খালাস কাজের জন্য যেসব ক্রেন বা যন্ত্রপাতি রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ কারণে বন্দর জেটিতে আগত জাহাজ খালাস ও বোঝাইতে বিলম্ব হচ্ছে। এ বন্দরকে উন্নত বিশ্বের বন্দরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চালাতে হলে আধুনিক যন্ত্রাংশ প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর ফারুক হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জরুরি ভিত্তিতে বন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে ৩০টি কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি (ক্যারেন) কেনা করা হয়েছে। কিন্তু বন্দরের গতি আনতে আরও ক্যারেন দরকার। ইতিমধ্যে বন্দর জেটির খালাস ও বোঝাই কাজের গতি ধরে রাখতে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি স্ট্রাডেল ক্যারিয়ার, ছয়টি ফর্কলিফট ট্রাক, দুটি টার্মিনাল ট্রাক্টর ও দুটি কন্টেইনার ট্রেইলর সংগ্রহ করা হয়েছে।
মংলা বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘মংলা একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর। এখানে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ চলে। দেশি-বিদেশি আমদানি-রফতানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীরা আসা যাওয়া করেন। তাই এখানে উন্নত মানের একটি ক্যান্টিন ও তিন তারা আবাসিক হোটেলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর ফারুক হাসান বলেন, ‘বন্দর এলাকায় সবার সুবিধার জন্যই একটি উন্নত মানের ক্যান্টিন ও তিন তারা হোটেল প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মংলা বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১৪তম সভায় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।’
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের নাগরিকত্ব কী হবে?