সাতক্ষীরায় আরও ১৮ রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক

সাতক্ষীরায় ১৮ রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক ভারতে অবস্থানরত আরও ১৮ রোহিঙ্গাকে সাতক্ষীরার হিজলদি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছে বিএসএফ। এদের মধ্যে ১০ শিশু, পাঁচ নারী ও তিন জন পুরুষ রয়েছে। তাদেরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের বাড়িতে রাখা হয়েছে।

উদ্ধারকৃতরা হলেন রুপিয়া খাতুন, রোকেয়া খাতুন, আবু তাহের, আবদুর রহিম, রেহানা খাতুন ও আলিমুদ্দিন। এছাড়া শিশুরা হলো শাহরুখ, আজিজুর, জিয়ারুল, জুবাইদ, সুমাইয়া, গুলশান আরা, এনায়েতুর, মাহবুব,সুফিয়া, জুবায়ের,রাশিদা ও সালমা খাতুন।

এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সাতক্ষীরা সীমান্ত পথে ৫৭ রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির হিজলদি সীমান্ত চৌকির (বিওপি ) নায়েক সুবেদার ওমর ফারুক জানান, রোহিঙ্গা পুশব্যাকের খবর পেয়ে তিনি ইউপি সদস্য নজরুলের বাড়িতে যান। তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। তারা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে বসবাস করে আসছিলেন।

তিনি আরও  জানান, তাদের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে কলারোয়ার চন্দনপুর ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন ‘আমার বাড়ি থেকে ভারতীয় সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১০০ গজ। সকাল ৭টার দিকে হঠাৎ করেই রোহিঙ্গারা আমার বাড়িতে উঠে পড়ে। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় এবং খাদ্য সহায়তা দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরকে ভারতের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার স্বরুপনগর থানার গণরাজপুর বিএসএফ ক্যাম্প সদস্যরা সীমান্ত পার করে দিয়েছে।’

চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতীয়রা তাদেরকে আমার ইউনিয়নে পুশব্যাক করেছে। তারা আশ্রয় নিয়েছেন আমার পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলামের বাড়িতে।’

তবে তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা জানাতে পারেননি ইউপি চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরে সংসদ উপনেতার গাড়ি বহরে হামলা