মাগুরায় শেষ মুহূর্তে জমজমাট কাত্যায়নী মেলা

মাগুরায় শেষ মুহূর্তে জমজমাট কাত্যায়নী মেলা মাগুরায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কাত্যায়নী মেলা। মেলায় ক্রেতাদের এখন উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ১৫ দিনব্যাপী এ মেলা আগামীকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) শেষ হতে চললেও বিক্রেতাদের দাবি, মেলা আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হোক।

মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করা হয় কাত্যায়নী মেলার। শহরের ছানার বটতলায় ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ১৫ দিনব্যাপী এ মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। আসবাবপত্র, বস্ত্র, শাড়ি, কম্বল, খেলনা, স্টেশনরি ও জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রায় কয়েকশত স্টল বসে এ মেলায়। এছাড়াও শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইডও স্থান পেয়েছে এবারের মেলায়। মেলার প্রথম সাতদিন তেমন বেচাকেনা না হলেও শেষ মুহূর্তে এসে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে ব্যস্ত দেখা যায় বিক্রেতাদেরকে।

মেলা কর্তৃপক্ষ ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত মেলায় বিক্রির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তবে এর মধ্যে ৩ কোটি টাকাই শেষ তিন দিনের বেচাকেনা।

বগুড়া থেকে আসা আসবাবপত্র বিক্রেতা আরমান মিয়া বলেন, এ পর্যন্ত আমার বেচাকেনা ১০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আশা করছি শেষ দুদিনে আরও ৫ লাখ টাকার বেচাকেনা হবে। তবে মেলায় যখন লোক আসা শুরু হলো তখনই তা শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে খারাপ লাগছে।

মাগুরায় শেষ মুহূর্তে জমজমাট কাত্যায়নী মেলা ঢাকা থেকে আসা ব্লেজার ব্যবসাযী বাচ্চু মিয়া বলেন, ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে স্টল নিয়েছি যা খুবই বেশি। একথা সত্যি যে বিক্রির পরিমাণ ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে কিন্তু আমাদের খরচ অনুযায়ী এ বিক্রি যথেষ্ট নয়। অন্তত আরও এক সপ্তাহ মেলা চললে আমরা সন্তোষজনক অবস্থায় ফিরতে পারতাম।
মেলায় আসা ক্রেতা সালমা বেগম বলেন, আমি প্রায় ১০ হাজার টাকার পণ্য কিনেছি। যে কম্বল ১২০০ টাকায় কিনেছি, বাজারে তার দাম ২০০০ টাকা হবে। এছাড়াও ক্রোকারিজ, ব্লেজারও কিনেছি বেশ কম দামে।

মেলা ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম মেলার সময় আরও বাড়ানোর জন্য কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্টলের মূল্য বেশি হওয়ার কারণ স্টল তৈরি খরচ বেড়েছে এবং পৌরসভাকে উচ্চহারে টোল দেওয়া লাগে। এর সঙ্গে আরও অন্যান্য খরচ রয়েছে। সবমিলে এর কমে স্টল বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়।’

মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল বলেন, ‘স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আপত্তি জানিয়েছে কারণ মেলা চললে তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি হয়। এছাড়া সেই কাত্যায়নী পূজা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের জন্যও ব্যাপারটা কঠিন। সবদিক চিন্তা করেই মেলার মেয়াদ বৃদ্ধি আর সম্ভব নয়।’