স্বাবলম্বী হতে চান প্রতিবন্ধী বিউটি





প্রতিবন্ধী বিউটিস্বাবলম্বী হতে চান কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার প্রতিবন্ধী বিউটি খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমি কাপড় সেলাইয়ের কাজ জানি। আমাকে সরকারিভাবে সহায়তা করা হলে স্বাবলম্বী হতে পারতাম। সেইসঙ্গে অন্য প্রতিবন্ধীদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো।’

শারীরিক প্রতিবন্ধী বিউটি খাতুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত নুরুজ্জামান মল্লিকের মেয়ে। মল্লিকের গেনি খাতুন ও লিলা খাতুন নামে আরও দুই প্রতিবন্ধী মেয়ে মারা গেছে।

বিউটি খাতুন বলেন, ‘ আমাদের অভাব-অনটনের সংসার। আমার হুইল চেয়ারটিও নষ্ট হয়ে গেছে। টাকার অভাবে ঠিকমত চিকিৎসা করাতে পারি না। মায়ের সঙ্গেই থাকি।’

জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক রোখসানা পারভিন বলেন, ‘বিউটি খাতুনের খোঁজ-খবর নিয়ে তাকে সহযোগিতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিউটি খাতুন জানান, তার চাচাতো ভাই আমান উল্লাহও মানসিক প্রতিবন্ধী। আমানের বোনও প্রতিবন্ধী ছিল। সে মারা গেছে।

আমান উল্লাহর মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘সরকারি যে সহায়তা পাই, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলে। তবে অনেক সময় চিকিৎসার খরচ নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়।’

প্রতিবন্ধী বিউটির চাচাতো ভাই আমান (ডানে)জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক রোখসানা পারভীন বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, কুষ্টিয়া জেলায় ৩২ হাজার ২৩৪ জন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। এরমধ্য সরকারি ভাতাভোগী প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১২ হাজার ১৩৫ জন। এছাড়াও ১৩শ’ ৯৭ জন শিক্ষাবৃত্তি পান। এছাড়াও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া সমাজসেবা অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় ৩২ হাজার ২৩৪ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধী রয়েছেন দৌলতপুর উপজেলায়। এখানে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৯ হাজার ৪০৬ জন।