যশোরে ছুরিকাঘাতে আহত আ.লীগ নেতার মৃত্যু





যশোরযশোরে ছুরিকাঘাতে আহত আওয়ামী লীগ নেতা সরদার মিলন (৫০) একমাস পর মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তিনি মারা যান। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নামাজে জানাজা শেষে পদ্মবিলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

সরদার মিলন বসুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি পদ্মবিলা গ্রামের বাবু সরদারের ছেলে।

বসুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল আহসান বাবলু জানিয়েছেন, গত ৬ নভেম্বর যশোর শহরের দড়াটানায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন মিলন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সদর পুলিশ ফাঁড়ি ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনার পর মিলন সরদার ঢাকায় চিকিৎসা নিয়েছিলেন। কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি যশোরে ফিরে ২৮ নভেম্বর একটি মামলা করেছিলেন নিজে বাদী হয়ে।
মামলায় মিলন সরদার উল্লেখ করেন, ৬ নভেম্বর যশোর শহরের দড়াটানায় সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশ ছিল ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যার প্রতিবাদে। তিনি ওই সমাবেশ থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে পদ্মবিলা ফিরছিলেন। এইচএমএম রোডের মুখে দাঁড়ানো মাত্র ১০/১৫ জন তাকে ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি মারধর, ছুরিকাঘাত এবং কোপ মারে। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা মৃত ভেবে চলে যায়। তাকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি অজ্ঞাত ১০-১৫ বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
ওই মামলার তদন্ত করছেন ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান।

ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান জানান, মামলাটি হয়েছিল মারধর করে জখম করার অপরাধে। এখন চার্জশিট হবে হত্যা মামলার। এই মামলায় কেউ আটক হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।