নৌমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মহাসড়কগুলোকে পর্যায়ক্রমে চারলেনে উন্নীত করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা প্রবন সড়কের বাঁকগুলোকে প্রসস্ত করে এবং সড়ক বিভাজক নির্মাণ করে দুর্ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।’
সড়ক দুর্ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘ড্রাইভারদেরকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে যেন তাদের কারণে কোনও অপমৃত্যু না ঘটে। তবে যেকোনও সড়ক দুর্ঘটনার দায় নির্বিচারে পরিবহন শ্রমিকদের ওপর চাপানো যাবে না।’ এ বিষয়ে অকারণে কোনও বিভ্রান্ত সৃষ্টি না করার জন্য তিনি সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরীর ব্যবস্থা এই সরকারের আমলেই হয়েছে। তাই যেকোনও আন্দোলন এমনভাবে করতে হবে যেন তাতে আইনের কোনও লঙ্ঘন না হয়। কেবল গাড়ি বন্ধ করে নয়, মিটিং মিছিল পোস্টার লিফলেট বিতরণ করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ন্যায্য দাবিগুলো আদায় করতে হবে।’ শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে যেন কুচক্রী মহল ফায়দা লুটতে না পারে সে ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকার জন্য তিনি শ্রমিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ২০১৭ এর চেয়ারম্যান ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, শ্রমিক নেতা আব্দুল গফফার বিশ্বাস, ওসমান আলী, আব্দুর রহিম বক্স দুদু, মো আনিসুর রহমান মোড়ল, কেসিসি’র ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর টিপুসহ আরও অনেকে।