সরকারি বই বিক্রির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

নড়াইল

নড়াইলের লোহাগড়ায় মাধ্যমিক স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বই কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় মামলা করা হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, শালনগর মডার্ন একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী মহিউদ্দীন, সহকারী শিক্ষক গোপাল কুন্ডু, দফতরি ইউনুচ মোল্যা, নৈশ প্রহরী ফজলুর হক, ভ্যান চালক ইকরামুল বিশ্বাস, আলম বিশ্বাস, ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মহব্বত বিশ্বাস ও লাল চান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শালনগর মডার্ন একাডেমী থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক মুদ্রিত ৭ম, ৮ম, ৯ম এবং ১০ম শ্রেণির ২০১৮ ও ২০১৭ সালের ৬৩০টি বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না করে উপজেলার লাহুড়িয়া বাজারের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মহব্বত বিশ্বাস ও লাল চাঁদের কাছে কেজি দরে বিক্রি করে দেয়। গত শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ক্রেতারা ওই বই বিদ্যালয় থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শফিকুল ইসলাম ওই বই শালনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান তসলুর রহমানের জিম্মায় রাখেন।

এ ঘটনায় গত রবিবার (১৪ জানুয়ারি)রাতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুর রহমান বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা করেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের সিডিউলভুক্ত বিধায় সোমবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর মামলার নথি পাঠানো হয়েছে।’

অভিযোগ রয়েছে যে, ২০১৭ সালে দুদক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বইয়ের গোডাউন থেকে মাধ্যমিক স্তরের ৩ রুম ভর্তি অতিরিক্ত বই জব্দ করেছিল এবং এ ঘটনায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার আস্থাভাজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে যোগসাজস করে অতিরিক্ত বই নেন। পরে তা কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেন। যদি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিগত বছরের শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তালিকা ও বইয়ের চাহিদা বের করা হয়, তাহলে আসল সত্য বের হয়ে আসবে।

আরও পড়ুন: ত্রিশালে ঘন কুয়াশায় বাস দুর্ঘটনায় আহত ১০